নৌকায় ভোট হবে ওপেন, মেম্বারদের গোপনে

ডেস্ক রিপোর্ট :

নৌকার ভোট ওপেন টেবিলে দেবো, মেম্বারদের ভোট গোপনে- এই শ্লোগান তৈরি করতে হবে। এখানে প্রশাসনের যারা আছেন তাদের কিছু বলার নেই। আমার ভোট আমি দেবো, ওপেন দেবো, টেবিলে দেবো। কেউ যদি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক এমন কথা বলেন। তার ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। ৬ নং ষোলটাকা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোবার হোসেনের পক্ষে বানিয়াপুকুর গ্রামে (১৮ নভেম্বর) রাতে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দেন। যেখানে তিনি নৌকার ভোট ওপেন দেওয়ার কথা বলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় জেলার দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির এমন বক্তব্যে অন্যান্য প্রার্থীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ষোলটাকা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন পাশা বলেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন বক্তব্য শুনে আমি অবাক হয়েছি। এমন বক্তব্য সংঘাতময়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যেতে সংকোচবোধ করবেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, যিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি জেলা আওয়ামী লীগের অনেক বড় দায়িত্বের জায়গায় আছেন। এ জায়গা থেকে এমন মন্তব্য আসলে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। ভোটাররা ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হবে। ফলে নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলেরই বদনাম হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।

বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক বলেন, আমি ভোট ডাকাতির কথা বলিনি। আমার ২০ মিনিটের বক্তব্য থেকে এডিট করে দেড় মিনিটের বক্তব্য নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি যে কথাগুলো বলেছি তা একটির পর একটি সাজালে আমার কথায় কোনো ভুল নেই। আমি বলেছি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতালে মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসন ও আমাদের হারাবেন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু আনসার বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই ধরনের বক্তব্যের কথা শুনেছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।